জ john জোসেফ কার্টিন ৮ জানুয়ারি ১৮৮৫ সালে মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ায়, আইরিশ অভিবাসীদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আটটি সন্তানের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন, যা তার শৈশবের উপর কিছু বাধ্যবাধকতা রাখত। ছোটবেলা থেকেই জ john রাজনীতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, যা পরে তার হাতে ক্যারিয়ারের ভিত্তি হিসেবে পরিণত হয়।
কার্টিন ক্যাথলিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, পরে তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করতে শুরু করেন, যার মধ্যে ছিল সংবাদপত্রে কাজ করা। ১৯০৭ সালে তিনি শ্রমিক পার্টিতে যোগ দেন, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। তিনি দ্রুত শ্রম আন্দোলনের একটি সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন, শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
১৯১৭ সালে কার্টিন শ্রমিক পার্টির হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে তার কাজ সামাজিক বিষয়গুলোর প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা এবং শ্রমজীবীদের জীবনযাত্রার উন্নতি নিয়ে ছিল। তিনি সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মতো বিভিন্ন মন্ত্রীর পদ সামলেছেন।
১৯৪১ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে, কার্টিন অস্ট্রেলিয়ার ১৪তম প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সরকার পরিচালনা করা শ্রমিক পার্টির প্রথম সদস্য ছিলেন। তার নেতৃত্ব কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের সম্পদকে যুদ্ধের জন্য мобিলাইজ করতে এবং মিত্রদের সমর্থন করতে চিহ্নিত হয়েছিল।
কার্টিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেনাবাহিনী-কৌশলগত সম্পর্ক উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছিলেন, যা জাপানের হুমকির বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। তার "যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অগ্রসর হওয়ার" বিখ্যাত বক্তৃতা এই জোটের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিল, যা দেশের নিরাপত্তা এবং অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করেছিল।
কার্টিন সামাজিক সংস্কারের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সমস্ত নাগরিকের জন্য এমাঙ্কার সেবা চালু করার এবং শ্রম শর্তাবলী উন্নত করার ধারণাকে সমর্থন করেছিলেন। তার সরকার সকল অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য আবাসনের অধিকারের ধারণা প্রচার করেছে, যা সামাজিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করেছে।
জ john কার্টিন এথেল কার্টিনের সাথে বিবাহিত ছিলেন, তাদের তিনটি সন্তান ছিল। তিনি তার বিনম্রতা এবং পারিবারিক মূল্যবোধের প্রতি প্রতিশ্রুতির জন্য পরিচিত ছিলেন। উচ্চ পদে থাকা সত্ত্বেও কার্টিন তার শিকড়ের কাছাকাছি ছিলেন এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সহায়তা অব্যাহত রেখেছিলেন।
কার্টিন ৫ জুলাই ১৯৪৫ সালে মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতি এবং সমাজে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। তার মৃত্যুর পরে, তার ধারণাগুলি দ্বারা অনুপ্রাণিত অনেকগুলি প্রোগ্রাম শুরু হয়েছিল, যার মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ছিল।
জ john জোসেফ কার্টিনের উত্তরাধিকার অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে বসবাস করে। নেতৃত্ব এবং সামাজিক বিষয়ে তার পদ্ধতি ভবিষ্যতের অনেক রাজনীতিককে অনুপ্রাণিত করেছে। ১৯৯০ সালে তার অবদান স্বীকৃত হয়, এবং তিনি শ্রমিক পার্টির গৌরব পনির হলে অন্তর্ভুক্ত হন, যা আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে তার প্রভাবকে হাইলাইট করে।
জ john জোসেফ কার্টিন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে রয়ে গেছে। তার জীবন ও ক্যারিয়ার কঠিন সময়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুরুত্ব এবং সামাজিক ন্যায়ের অবিচল প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, তিনি শুধু তার দেশকে রক্ষা করেননি, বরং ভবিষ্যতের সংস্কারের ভিত্তি স্থাপন করেছেন, যা অস্ট্রেলিয়ার সমাজকে পরিবর্তন করেছে।