সিনেমা, 20 শতকের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্প, 19 শতকের শেষের দিকে তার অস্তিত্ব শুরু করে। প্রায় 1895 সালের দিকে কয়েকজন আবিষ্কারক এবং উদ্যোক্তা গতিশীল চিত্র তৈরি করার প্রথম পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেন, যা পরে বিনোদন শিল্প এবং ম্যাস কালচারে বিপ্লব ঘটায়। এই প্রবন্ধে আমরা সিনেমার উদ্ভাবনে নিখুঁত ভূমিকা রাখা প্রধান ব্যক্তিত্ব এবং ঘটনাগুলি বিশ্লেষণ করব।
সিনেমার ইতিহাস অপটিক্স এবং ছবির পরীক্ষাগুলির সাথে শুরু হয়। 1830-এর দশকে, জোইট্রপ এবং ফেনাকিস্টোস্কোপের মতো ডিভাইসগুলি 등장 করে যা ছবির একটি ধারাবাহিকতা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়, যা গতির ইলিউশন তৈরি করে।
1888 সালে, কিংবদন্তি আবিষ্কারক লুই লেপ্রেন্স বিশ্বে প্রথম গতিশীল চলচ্চিত্র তৈরি করেন, যা দ্রুত তোলা ছবির একটি সিরিজ ব্যবহার করে। এই অভিজ্ঞতা সিনেমার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের গবেষণার দিকে নির্দেশনা দিয়েছে।
সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বগুলির মধ্যে Auguste এবং Louis Lumière রয়েছেন। লুমিয়ের ভাইয়েরা "সিনেমাটোগ্রাফ" নামক তাদের নিজস্ব প্রজেক্টর এবং ক্যামেরা তৈরি করেন। লুমিয়েরদের প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শনী 1895 সালের 28 ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়, এবং এই দিনটিকে গণীশিল্প হিসাবে সিনেমার জন্মের আনুষ্ঠানিক তারিখ হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
প্রথম প্রদর্শনীতে "ফ্যাক্টরি থেকে শ্রমিক বের হওয়া", "ট্রেনের আগমন" এবং "শক্তি সরবরাহকারী"-এর মতো কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ঘটেছিল। এই চলচ্চিত্রগুলি কয়েক মিনিট চলেছে, কিন্তু তারা সত্যিকারের সেনসেশন হয়েছে এবং জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
একটি শিল্প এবং বিনোদন হিসাবে সিনেমা একাধিক প্রযুক্তিগত অর্জনের কারণে সম্ভব হয়েছে। চিত্র ধারণ করার জন্য সক্ষম ফিল্ম তৈরি এবং 20 শতকের শুরুতে এটি পরবর্তী উন্নয়নগুলি দীর্ঘ চলচ্চিত্র তৈরি করা সম্ভব করেছে।
পূর্বে ব্যবহৃত নেতিবাচক ফিল্মগুলি ভর উৎপাদনের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তবে 1890-এর দশকে, আবিষ্কারকরা যেমন থমাস এডিসন এবং তার দল, শুটিং এবং প্রদর্শনের গুণমান উন্নত করার জন্য কাজ করছিলেন।
লুমিয়েরদের প্রথম প্রদর্শনীর পর, সিনেমা দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। কয়েক বছরের মধ্যে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার শহরে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য সিনেমা হলগুলির সূত্রপাত ঘটে। 1900-1905 সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পূর্ণ সিনেমা স্টুডিওগুলির আবির্ভাব ঘটে, যা স্বল্পদৈর্ঘ্যের নাটকীয় চলচ্চিত্র তৈরি করে।
সিনেমা শুধু বিনোদনই নয়, বরং জনমতকে প্রভাবিত করার একটি মাধ্যমও হয়ে উঠছে। চিত্র এবং শব্দের শক্তি ব্যবহার করে, নির্মাতারা তাদের কাজগুলিতে গুরুতর সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যা উপস্থাপন করতে শুরু করেন।
সিনেমা শিল্পের বিকাশের সাথে বিভিন্ন শৈলী উদ্ভূত হতে শুরু করে - কমেডি, নাটক, পশ্চিমা এবং আরও অনেক কিছু। এডওয়ার্ড সি. ক্যামেরন এবং ডি. ওয়ি. গ্রিফিথ চিত্রনাট্যের দক্ষতার উন্নয়ন এবং ভিজ্যুয়াল ন্যারেটিভ ধারণার উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেন, যা ভবিষ্যতের পরিচালকগণের জন্য ভিত্তি স্থাপন করে।
চলচ্চিত্র উত্পাদন সমাজের সাংস্কৃতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। ভেনিস বা কানের মতো চলচ্চিত্র উৎসবগুলি প্রতিভা এবং শিল্পের ক্ষেত্রে অর্জন প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্ম হয়ে ওঠে।
19 শতকের শেষে সিনেমার উদ্ভাবন শিল্প এবং বিনোদনের একটি নতুন যুগের সূচনা করে। এটি বিশ্বের সকল স্থানে ধারণা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বিস্তারের জন্য উত্সাহিত করেছে। প্রতি বছর সিনেমা আরও এগিয়ে যাচ্ছে, মানব অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করছে এবং আবেগকে গায়ন করছে। এটি যে সম্ভাবনাগুলি উন্মোচন করেছে তা অসীম, এবং প্রথম আবিষ্কারকদের, যেমন লুমিয়ের ভাইয়েদের, উত্তরাধিকার আজও লাখ লাখ দর্শকের হৃদয়ে জীবন্ত।