বুদ্ধ, যিনি সিদ্ধার্থ গৌতম হিসাবে পরিচিত, তিনি বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, যা বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ধর্ম। তাঁর শিক্ষাও এবং দর্শন продолжает оказывать влияние на миллионы людей, предлагая глубокие размышления о природе жизни, страдания и пути к просветлению.
সিদ্ধার্থ গৌতম জন্মগ্রহণ করেন প্রায় 563 খ্রিস্টপূর্বাব্দে লুম্বিনিতে, আধুনিক নেপালের অঞ্চলে। তিনি ছিলেন রাজা শুদ্ধোদনের পুত্র, একটি ছোট রাজ্য শাক্যর শাসক। শিশুবেলা থেকে তাঁকে শেহ ও সুবিধাগুলি ঘিরে রেখেছিল। তবে, স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন সত্ত্বেও, সিদ্ধার্থ অনুভব করতেন যে জীবন সম্পর্কে কিছু একটা ভুল রয়েছে।
যখন তাঁর বয়স 29 বছর হল, তিনি মহল ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন যাতে বিশ্বকে দেখতে পারেন। নিজের ভ্রমণের সময়ে তিনি তিনটি মৌলিক বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন: বার্ধক্য, রোগ এবং মৃত্যু। এই সাক্ষাৎ তাঁর উপর গভীর প্রভাব ফেলে এবং জীবন অর্থ খোঁজার প্রেরণা দেয়।
সিদ্ধার্থ তাঁর পরিবার ও ধন-সম্পত্তি পরিত্যাগ করে একজন ভিক্ষু হতে চাইলেন। তিনি বিভিন্ন আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে সত্য খুঁজছিলেন, যার মধ্যে ছিল ত্যাগ এবং ধ্যান। তবে, সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, তিনি সম্পূর্ণ সন্তোষ এবং বোধ লাভ করতে ব্যর্থ হন।
অবশেষে, তিনি বুঝতে পারেন যে ত্যাগের চরম অবস্থান তাঁকে বোধিতে পৌঁছাবে না। তিনি বোধি গাছের নিচে বসে পড়লেন এবং নিজেকে প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি উঠবেন না যতক্ষণ না বোধি বা প্রচেতা অর্জন করেন। 49 দিন ধ্যান করার পর তিনি বোধি অবস্থায় পৌঁছান। সিদ্ধার্থ বুদ্ধ হয়ে ওঠেন, যার অর্থ "প্রশান্তি লাভ করলেন"।
প্রশান্তি লাভের পরে, বুদ্ধ তাঁর জ্ঞান এবং শিক্ষাগুলি অন্যদের সঙ্গে ভাগ করতে শুরু করেন। তাঁর শিক্ষার মূল নীতিগুলি অন্তর্ভুক্ত:
1. দুঃখ (দুক্কহ) বিদ্যমান।
2. দুঃখের কারণ (সমুদায়) হচ্ছে বাসনা এবং সংযুক্তি।
3. দুঃখের সমাপ্তি (নিরোধ) সম্ভব।
4. দুঃখের সমাপ্তির পথ (মাগ্গ) হচ্ছে অষ্টাঙ্গিক পথ।
বুদ্ধের শিক্ষা ভারতের ভিতরে এবং বাইরে তাঁর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তিনি তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলি দেশজুড়ে ঘুরে বেড়ালেন এবং বিভিন্ন দিকের তাঁর শিক্ষাগুলি মানুষকে শেখালেন। প্রায় 483 খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর মৃত্যুর পর, বৌদ্ধ ধর্ম দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
বৌদ্ধ ধর্ম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে, যেমন শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার এবং কম্বোডিয়ায় বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে, বৌদ্ধ ধর্ম চীন, কোরিয়া এবং জাপানেও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বিভিন্ন স্কুল এবং ধারার বিকাশ ঘটে, যেমন মহাযান এবং থেরবাদ।
বুদ্ধের উত্তরাধিকার লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকে। তাঁর বিশ্বের, সহানুভূতির এবং দুঃখের বোঝাপড়ার শিক্ষা আজকের সমাজে প্রাসঙ্গিক। বৌদ্ধ ধর্ম শুধু ধর্মীয় অনুশীলনকেই অনুপ্রাণিত করেনি, বরং দার্শনিক শিক্ষা, ধ্যান এবং মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে।
আজ বুদ্ধ শান্তি এবং অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন, মানুষকে সুখ এবং বোধির পথে নিজেদের খোঁজার প্রেরণা দিচ্ছেন।
সিদ্ধার্থ গৌতম, যিনি বুদ্ধ হয়ে উঠলেন, তিনি বিশ্বকে একটি অমূল্য উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। তাঁর শিক্ষা আমাদের দুঃখ বুঝতে এবং অতিক্রম করতে, বোধির লক্ষ্যে অগ্রসর হতে এবং জীবনে সামঞ্জস্য খুঁজতে শেখায়। বৌদ্ধ ধর্ম স্ব-জ্ঞান এবং অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধির পথ হিসেবে মন এবং হৃদয়ে প্রভাবিত করতে থাকে।