লুদভিগ ফন বেতোভার (১৭৭০–১৮২৭) — সমস্ত সময়ের অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ সুরকার, জার্মানির বন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সঙ্গীত ক্লাসিক এবং রোমান্টিক যুগকে অন্তর্ভুক্ত করে, এবং সঙ্গীত শিল্পে তাঁর প্রভাব অবিশ্বাস্যভাবে অতুলনীয়।
বেতোভার একটি সঙ্গীতশিল্পী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, জোহান, আদালতের গায়ক ছিলেন, এবং তিনিই লুদভিগের প্রথম শিক্ষক হন। ৭ বছর বয়সে বেতোভার ইতিমধ্যেই তাঁর প্রথম কনসার্ট করতে শুরু করেন। ছোটবেলা থেকে তাঁকে শুধু ক্ল্যাভিসিন বাজানোর জন্য নয়, বরং সুরসৃষ্টি করার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।
১৭৮৭ সালে বেতোভার ভিয়েনায় যান, যেখানে তিনি উলফগ্যাং আমাডিয়াস মসার্ত এবং জোসেফ হায়ডান-এর মতো সুরকারদের সঙ্গে পরিচিত হন। মসার্ত তরুণ সুরকারের প্রতিভা লক্ষ্য করেন এবং তাঁর একটি মহান ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করেন। তবে, বন ফিরে আসার পর বেতোভার কঠোর আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হন, এবং কয়েক বছর পরে তিনি আবার ভিয়েনায় ফিরে আসেন, সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য।
বেতোভার তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন একজন পিয়ানোবাদক এবং সুরকার হিসেবে। তাঁর প্রথম কাজগুলি ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতেরTraditions অনুসরণ করে, কিন্তু খুব দ্রুত তিনি নতুন উপাদান এবং ধারণা যুক্ত করে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেন। তাঁর সৃষ্টিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় আলাদা করা যায়:
বেতোভার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল তাঁর শ্রবণ ক্ষমতার অবনতি। ৩০ বছর বয়সে তিনি শ্রবণ সমস্যাগুলি লক্ষ্য করতে শুরু করেন, যা তাকে অবসাদে পরিণত করে। তবুও, তিনি সঙ্গীত লেখা চালিয়ে গিয়েছিলেন, অভ্যন্তরীণ শ্রবণ এবং সংশ্লিষ্ট সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করে। এই রোগের সঙ্গে তাঁর সংগ্রাম তাঁর শিল্পী প্রকাশের একটি অংশ হয়ে উঠেছিল।
বেতোভার পরবর্তী প্রজন্মের সুরকারদের উপর enormes প্রভাব ফেলেছেন, যেমন ব্রাহ্মস, ওয়াগনার এবং তচাইকভস্কি। তাঁর সঙ্গীত সারা বিশ্বে সঙ্গীতশিল্পী এবং শ্রোতাদের অনুপ্রাণিত করতে থাকে।
«সঙ্গীত হল শিল্পের সর্বোচ্চ রূপ, এবং আমি এমন কিছু তৈরির চেষ্টা করি যা সময়ের কাছে অসহায়।» — লুদভিগ ফন বেতোভার
লুদভিগ ফন বেতোভার ইতিহাসে চিরকাল স্থায়ী থাকবেন একটি প্রতিভারূপে, যা সঙ্গীতের রূপকে পরিবর্তন করে এবং মানুষের হৃদয়ে অমলিন ছাপ রেখে গেছে। তাঁর কাজগুলি এখনও কনসার্ট হলে বাজানো হয় এবং নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পীদের অনুপ্রাণিত করে।