মিল্টন অবোটে ১৯৬২ সালে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতার পরuganda-এর একটি মূল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠলেন। তিনি পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জের একটি সময়ে দেশটি পরিচালনা করেছিলেন। তার শাসন প্রায় দুই দশক জুড়ে ছিল, যেখানে অর্জন এবং ট্রাজারিজ দুটি ঘটনার জন্য উগান্ডার ইতিহাসে গভীর ছাপ ফেলেছিল।
মিল্টন অবোটে ১৯২৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং উগান্ডায় স্কুল এবং কলেজে শিক্ষা গ্রহণ করেন, পরে তিনি ব্রিটেনে পড়াশোনা চালিয়ে যান। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার উগান্ডা জাতীয় কংগ্রেসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয়, যেখানে তিনি স্বাধীনতার পক্ষে একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেন। অবোটে একটি একক জাতীয় রাষ্ট্র তৈরির ধারণার সমর্থক ছিলেন, যা তার প্রতি অনেক সমর্থক আকৃষ্ট করেছিল।
১৯৬২ সালে উগান্ডার স্বাধীনতা অর্জনের পর অবোটে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেন। ১৯৬৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন, এবং ১৯৬৬ সালে তিনি একটি রাষ্ট্রপতি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে পার্লামেন্টকে উৎখাত করে নিজেকে সম্প্রসারিত ক্ষমতাসম্পন্ন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।
তার শাসনের শুরুতে অবোটে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছিলেন। তিনি কৃষি এবং শিল্পের মতো মূল অর্থনৈতিক খাত জাতীয়করণের জন্য বেশ কিছু সংস্কার চালান। এই সংস্কারগুলি উপনিবেশিক কাঠামোর প্রভাব কমানো এবং একটি স্বাধীন অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছিল।
তবে অবোটের সব সংস্কার সফল হয়নি। অনেকটাই উত্পাদনশীলতার হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। জাতীয়করণ, যদিও সামাজিক ন্যায়ের ধারণার দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, প্রায়ই যথাযথ পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির অভাবে সম্পন্ন হয়েছিল, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলেছিল। উগান্ডা খাদ্যের ঘাটতি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছিল।
অবোটের শাসনও স্বৈরাচারী পদ্ধতির জন্য পরিচিত ছিল। তিনি রাজনৈতিক বিরোধীতা দমন করেছিলেন এবং তার শত্রুদের নির্মূল করতে শক্তি ব্যবহার করেছিলেন। ব্যাপক গ্রেফতার এবং সহিংসতার প্রতিবাদগুলি দমনের ঘটনা ঘটেছিল। অবোটের সরকার গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেছিল, যা দমন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিকে নিয়ে গেছে।
রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সংমিশ্রণ জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছিল। এই অসন্তোষ অতি দ্রুত বিরোধী আন্দোলনের উত্থানের দিকে পরিচালিত করে, যার মধ্যে ইদি আমিনের নেতৃত্বে একটি আন্দোলনের উত্থান ঘটে, যা অবোটের শাসনের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে ওঠে।
১৯৭১ সালে, অর্থনৈতিক সমস্যাগুলি এবং বর্ধিত অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে, ইদি আমিন একটি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটান, অবোটেকে উৎখাত করেন। আমিন দেশটির নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং একটি নির্মম শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, যা সহিংসতা এবং দমন দ্বারা চিহ্নিত ছিল। এই ঘটনা অবোটের শাসনের শেষ এবং উগান্ডার ইতিহাসে আরও এক অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা করেছিল।
উৎখাতের পর, অবোটে প্রথমে তানজানিয়া এবং পরে অন্যান্য দেশে নির্বাসিত হতে বাধ্য হন। নির্বাসনে তিনি উগান্ডায় ফিরে আসা এবং তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার পুনরুদ্ধারে কাজ করতে থাকেন। অবোটে স্বৈরাচার এবং কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক হয়ে উঠলেন, যদিও তার নিজস্ব শাসনেও অনেক বিতর্কিত দিক ছিল।
১৯৮০ এর দশকেও অবোটে উগান্ডায় ফিরে আসেন এবং নির্বাচনের পরে আবার রাষ্ট্রপতি হন। তবে তার প্রত্যাবর্তন নতুন সংঘাত এবং সহিংসতার সাথে ছিল, যা প্রমাণ করে যে তিনি দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হন। অবশেষে, ১৯৮৫ সালে তাকে আবার উৎখাত করা হয়।
অবোটের উত্তরাধিকার বিরোধপূর্ণ হিসেবে রয়ে গেছে। তার শাসন অর্জন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য চিহ্নিত হয়েছে। অবোটে ছিলেন উগান্ডার স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের প্রথম নেতা, তবে তার শাসন কৌশল এবং স্বৈরাচারী স্বভাব দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল।
মিল্টন অবোটের শাসন উগান্ডার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পৃষ্ঠা, যা অর্জন এবং ব্যর্থতা উভয়েই চিহ্নিত। তার স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে অবদান অস্বীকার করার নেই, তবে তার স্বৈরাচারী শাসন পদ্ধতি এবং বিরোধীদল দমন সমালোচনার বিষয়। তার শাসনের পাঠগুলি উগান্ডার পরবর্তী উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক ইতিহাস বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।