সোভিয়েত সময়কাল বেলারুশের ইতিহাসে 1920-এর দশক থেকে 1990-এর দশকের শুরু পর্যন্ত সময়কে অন্তর্ভুক্ত করে এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং জটিল পর্ব, যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এই নিবন্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বেলারুশকে গঠিত করা মূল ঘটনাগুলি এবং প্রক্রিয়াগুলি আলোচনা করা হয়েছে।
রাশিয়ার গৃহযুদ্ধের পর, 1921 সালে, বেলারুশ সোভিয়েত রাশিয়ার অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়, এবং 1922 সালে এটি সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিকের (এসএসআর) একটি প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। এই সময়টি নতুন সামাজিক কাঠামো তৈরি এবং সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার প্রবর্তনের প্রচেষ্টার দ্বারা চিহ্নিত ছিল।
1924 সালে বেলারুশিয়ান সোভিয়েত সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক (বিএসএসআর) গঠিত হয়। এই সময়ে সক্রিয় শিল্পায়ন এবং কৃষির সমবায়ীকরণ শুরু হয়। তবে এই প্রক্রিয়াগুলির গুরুতর পরিণতি ছিল: অনেক কৃষক শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন, এবং দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য কষ্ট ভোগ করেছিল।
1930-এর দশকে বেলারুশ একাধিক ট্র্যাজেডির সম্মুখীন হয়, যার মধ্যে একটি অনাহার ছিল, যা সমবায়ীকরণের অকার্যকর নীতির ফলস্বরূপ হয়েছিল। জোরপূর্বক জমি বাজেয়াপ্তির ভিত্তিতে গঠিত একাধিক সমবায় কৃষি সাধারণত সম্পদের অভাব এবং নিম্ন উৎপাদনশীলতার মুখোমুখি হয়েছিল।
একই সময়ে, বিভিন্ন সামাজিক স্তরের প্রযুক্তির বিরুদ্ধে গণহারে দমন চলছিল। অনেক Belarusian сталينية শুদ্ধিকরণের শিকার হয়েছিলেন, যা সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কারণ হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেলারুশের ইতিহাসে সবচেয়ে ট্র্যাজেডিক সময়কালগুলির মধ্যে একটি ছিল। 1941 সালে দেশটি নাজি জার্মানিতে দখল হয়ে যায়। দখলটি ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধ্বংস এবং উদ্বাস্তুদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ইতিহাসবিদদের মতে, বেলারুশ প্রায় ২.২ মিলিয়ন লোক হারিয়েছে, যা তার জনসংখ্যার প্রায় 25%।
যুদ্ধে বেলারুশের জনগণ উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ প্রদর্শন করেছে। গেরিলা আন্দোলন দখলকারীদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠেছিল। গেরিলারা বিচ্ছিন্ন হামলা সংগঠিত করেছিল, সামরিক লোডে সাবোটেজ করেছিল এবং রেড আর্মিকে সহায়তা করেছিল।
1944 সালে বেলারুশ মুক্তির পর দেশটি পুনর্গঠনের দিকে এগিয়ে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃপক্ষ অর্থনীতির এবং অবকাঠামোর পুনর্গঠনের ব্যাপক পরিকল্পনা ঘোষণা করে। শহর, শিল্প প্রকল্প এবং কৃষি পুনঃগঠনের জন্য ব্যাপক কাজ করা হয়েছিল।
1950-এর দশকে, বেলারুশ এসএসআর-এর অন্যতম প্রধান শিল্প কেন্দ্র হয়ে ওঠে। যন্ত্র নির্মাণ, রসায়ন এবং হালকা শিল্পের মতো শিল্পগুলি বিকশিত হয়েছিল। এই সময়ে নতুন প্রতিষ্ঠানগুলি তৈরি হয়েছিল, যা জনগণের জীবনযাত্রার স্তর উন্নত করতে সাহায্য করেছিল।
সোভিয়েত সময়ে শিক্ষা সকল স্তরের মানুষের জন্য মানবিক হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থা সমাজতান্ত্রিক নীতির ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা হয়েছিল। বেলারুশে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি এবং বিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রযুক্তিগত এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে জোর দেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতির জীবনও পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়েছিল। দেশে সাহিত্য, নাটক এবং সঙ্গীত শিল্পের সক্রিয় বিকাশ ঘটছিল। তবে শিল্পটি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল, যা শিল্পী এবং লেখকদের সৃজনশীল স্বাধীনতা محدود করেছিল।
1985 সালে মিখাইল গর্বাচেভের ক্ষমতায় আসার সঙ্গে "পেরেস্ত্রেইকা" নামে পরিচিত সংস্কারের যুগ শুরু হয়। এই সময়টি গণতান্ত্রিকীকরণ এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টার দ্বারা চিহ্নিত ছিল। বেলারুশে স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন গঠিত হতে শুরু করে।
1991 সালে, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেঙে পড়ার পর, বেলারুশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে, যা সোভিয়েত সময়কালের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। তবে অনেক সোভিয়েত উত্তরাধিকারের দিক পরবর্তী বছরগুলিতে দেশের উপর প্রভাব ফেলতে থাকে।
বেলারুশের ইতিহাসে সোভিয়েত সময়কাল একটি জটিল এবং বহুমাত্রিক ছিল। এটি অর্জন এবং ট্র্যাজেডির পাশাপাশি চিহ্নিত হয়েছিল, যা আধুনিক বেলারুশীয় সমাজকে গঠন করেছে। যুদ্ধের পর পুনর্গঠন, অর্থনীতির, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির বিকাশ জাতীয় পরিচিতি গঠনের জন্য মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতায় রূপান্তর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল, যা সোভিয়েত সময়কাল থেকেই শুরু হয়েছিল এবং বেলারুশের ইতিহাসে একটি নতুন যুগের সূচনা করে।