রিচার্ড I, যিনি লায়নহার্ট নামেও পরিচিত (৮ সেপ্টেম্বর ১১৫৭ — ৬ এপ্রিল ১১৯৯), ১১৮৯ সাল থেকে ১১৯৯ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইংল্যান্ডের রাজা ছিলেন। তিনি মধ্যযুগের ইংল্যান্ডের সর্বাধিক পরিচিত শাসকদের একজন এবং মহৎ সাহস এবংKnightly সম্মানের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। রিচার্ড তার যুদ্ধে সাহসিকতার জন্যই পরিচিত ছিলেন না বরং তৃতীয় ক্রুসেডে তার সামরিক অভিযানে সাফল্যের জন্যও।
রিচার্ড I হেনরি II এবং এলিনর অফ অ্যাকুইটেনের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পরিবারের তৃতীয় পুত্র ছিলেন এবং তার প্রাথমিক বছরগুলি বড় ভাইয়ের নিয়মিত নজরদারির মধ্যে কাটিয়েছিলেন, যিনি শেষ পর্যন্ত রাজা হন। ছোটবেলা থেকেই রিচার্ড সামরিক কাজ এবং নাইটলি সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন।
১১৮৯ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর রিচার্ড সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার শাসন শুরু হয়েছিল অশান্ত সময়ে, যখন neighboring রাজ্যগুলির সাথে দ্বন্দ্ব এবং দেশীয় বিরোধ সমাধানের প্রয়োজন ছিল। রিচার্ড দ্রুত তার অধীনস্থদের মধ্যে সম্মান ও কর্তৃত্ব অর্জন করেন, তবে তিনি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।
সবাই তার শাসনে খুশি ছিল না। ১১৯০ সালে রিচার্ড তার ভাই জন দ্বারা একটি বিদ্রোহের সম্মুখীন হন। তবে তিনি বিদ্রোহ দমন করতে এবং তার ক্ষমতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।
রিচার্ড I-এর জীবনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল তৃতীয় ক্রুসেড (১১৮৯-১১৯২), যার উদ্দেশ্য ছিল জেরুজালেমকে মুসলিম শাসন থেকে মুক্ত করা। রিচার্ড, ফিলিপ II ফ্রেঞ্চ এবং ফ্রিডরিখ I বার্বারোসার মতো অন্যান্য ইউরোপীয় শাসকদের সাথে জোট গঠন করে পবিত্র দেশে গিয়েছিলেন।
ক্রুসেডের সময় রিচার্ড অসাধারণ সাহসিকতা এবং কৌশলগত দক্ষতা প্রদর্শন করেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত বিজয় ছিল ১১৯১ সালে আর্সুলের যুদ্ধে, যেখানে তিনি সালাদিনের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে একটি প্রবাহিত বিজয় অর্জন করেন, যিনি জেরুজালেমের জন্য রক্ষা করেছিলেন।
যদিও রিচার্ড জেরুজালেম দখল করতে সক্ষম হননি, তবে তিনি সালাদিনের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যা খ্রিষ্টানদের শহরে তীর্থ ভ্রমণের অনুমতি দেয়। এটি অঞ্চলে খ্রিষ্টীয় উপস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।
ক্রুসেড শেষ করার পরে রিচার্ড ইংল্যান্ডে ফিরে যান। তবে পথে শত্রু রাজাদের দ্বারা তাকে বন্দী করা হয়, এবং তার মুক্তির জন্য তাকে একটি উল্লেখযোগ্য মুক্তিপণ দিতে হয়। তিনি ১১৯৪ সালে উদ্ধার হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।
রিচার্ডের শাসনের শেষ বছরে তিনি শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং তার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে থাকেন। তবে ৬ এপ্রিল ১১কি৯ সালে শালু দুর্গের অবরোধের সময় একটি তীর দ্বারা তিনি গুরুতরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন, যা তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটায়।
রিচার্ড I ইতিহাসে ইংল্যান্ডের একজন মহান রাজা হিসেবে খ্যাতিমান রয়েছেন। তার লায়নহার্ট খ্যাতি সাহস, মহত্ত্ব এবং নাইটলি সম্মানের সাথে সংযুক্ত। যদিও তিনি তার শাসনের অধিকাংশ সময় ইংল্যান্ডের বাইরে কাটিয়েছেন, তবে তার কার্যক্রম ইংল্যান্ডের রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং মহাদেশের সাথে সম্পর্ক গঠনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।
রিচার্ড I-এর প্রতিবিম্বটি বহু সাহিত্যিক এবং শিল্পকর্মের উৎস উৎসাহিত করেছে। তিনি অনেক কিংবদন্তি এবং বলাদা বলে পরিচিত হয়ে উঠেছেন, যা তার সাংস্কৃতিক প্রতীক হিসেবে তার মর্যাদা নিশ্চিত করে। রিচার্ড নাইটের আদর্শ এবং খ্রিষ্টীয় দায়িত্বের প্রতীক, যা বহু শতাব্দী ধরে প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে।